Sunday, April 21, 2019



গলসীর ধর্ম রাজের গাজনে হিন্দু -মুসলিম মিলনের বার্তা।
                        ফিরোজ আলী কাঞ্চন
         সারা দেশে যখন হিন্দু মুসলিম বিভেদের বাতাবরণ, তখন বর্ধমান গলসীর ধর্মরাজের গাজন যেন এক বিভেধহীন মিলন ক্ষেত্র।
    বাংলার আঞ্চলিক দেবতা ও লোকসংস্কৃতিতে যে দেবতাদের প্রাধান্য তাদের মধ্যে অন্যতম ধর্ম ঠাকুর।রাঢ় বজ্ঞের অনান্য গ্রামের মতো এই অঞ্চলের মূলগলসীছাড়াওইড়কোনা,বেলান,আদড়াহাটি প্রভৃতি গ্রামে ধর্ম ঠাকুর পুজিত হন।ধর্ম ঠাকুরের সজ্ঞে শিবও এ অঞ্চলে জনপ্রিয়।মূল গলসি গ্রামে রয়েছে গর্গেশ্বর শিব।আটকোনাকৃতি প্রাচীন শিখর মন্দির।অনেক গবেষক মনে করেন এই গর্গেশ্বর শিবের নাম থেকেই গ্রামের নাম হয়েছে গলসী।
           ধর্ম ঠাকুরের প্রকৃতি নিয়ে
    মতভেদ থাকলেও ধর্ম ঠাকুরের সজ্ঞে আজ্ঞিকগত সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য শিব ঠাকুরের।গলসীতে শিব ও ধর্মরাজ এক সজ্ঞে পূজিত হন।গ্রামের এক দালান মন্দিরে ধর্মরাজের অবস্থান,প্রাচীন এই দালান মন্দিরটি কতোসালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা সঠিক ভাবে জানা গেলেও এটুকু বোঝাযায় মন্দিরটি ১৯২০সালে সংস্কার করা হয়েছিল।গলসীতে চৈত্রমাসে শিবের পুজো না হয়ে শ্রাবণ মাসের শেষ সোম ও মজ্ঞল বার ধর্মরাজ ও গর্গেশ্বর শিব এক সজ্ঞে পুজাপান।এ উপলক্ষ্যে এক বিরাট মেলা বসে,রাত্রে ঝোলা হয়,দিনে বানেশ্বর রাড় হয়।সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট ধর্মরাজের মূর্তিট সারাদিন গ্রামের এক প্রান্তে এক মসজিদের সামনে রেখে পুজো করা হয়েথাকে,এই রীতি কয়েকশো বছর ধরে চলে আসছে,যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্বল দৃষ্টান্ত।এ ছাড়াও গলসীর এই চড়কের মেলাতেও যেন হিন্দু মুসলমানের মিলন ক্ষেত্র।আসেপাশের গ্রামগুলি থেকে জাতি ধর্মনর্বিশেষে সকলে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সংহতির ভীতকে মজবুত করেতুলে।



No comments:

Post a Comment