Sunday, June 16, 2019

গলসি চান্না গ্রামে বিশিষ্ট বিপ্লবী অগ্নিযুগের ব্রম্ভা যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ওরফে স্বামী নীরালম্বের জীবন কাহিনি ভি ডি ও তে    

Wednesday, June 12, 2019

কৈতাড়া গ্রাম,Galsi,Burdwan
গ্রামের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী  কাঁশা পিতলের শিল্প আজ ধ্বংসের পথে 

Friday, June 7, 2019


ছেলেবেলায় ভোটের স্মৃতি।

                              ফিরোজ আলী কাঞ্চন
ভোট গনতান্ত্রিক দেশে নাগরীকদের অধিকার।ছেলে বেলায় অতো কিছু বুঝতাম না।ভোট এলেই যেন এক উৎসব,চারিদেকে সাজো সাজো রব।বিভিন্ন রঙিন পতাকায় ছেয়ে যেত গোটা গ্রাম।গ্রামের মাটির দেওয়াল গুলিতে দেওয়াল লেখন,কতো ছন্দ মিলিয়ে ছড়ার ছড়াছড়ি।আদুল গায়ে,গ্রামো আরো অনান্য বালকদের সজ্ঞে আমিও সে সব রং মাটির দেওয়াল থেকে আঙুল দিয়ে ঘষে তুলে কপালে টিপ পড়তাম,গোঁফ করতাম,একে অন্যকে সাজিয়ে দিতাম।
              ভোটের দিন আরো মজা,স্কুল ছুটি।আমাদের গ্রামের প্রাইমারী স্কুলেই ভোট হ য়।আগের দিন ভোটকেন্দ্রে আসতেন ভোট কর্মীরা,সজ্ঞে পুলিশের আসা যাওয়া।পুলিশ বা জলপাই রংমেশানো সেনা দেখলেই ভয়ে সরে গিয়ে দূর থেকে অবাক চোখে দেখতাম।পরের দিন ভোট শুরু হলে গোটা গ্রাম সুতুলি দড়ি দিয়ে বিভিন্ন পতাকায় ছেয়ে যেত।রাস্তার ধারে ধারে একটা বাঁশের কঞ্চি থেকে শুধু পাতাগুলি ছাড়িয়ে বিভিন্ন শাখায় পতাকা আটকে সেই বাঁশ কে গেঁথে দেওয়া হতো,যেন পতাকার গাছ,ভোট শেষ হয়েগেলে সে সব ছিঁড়ে নিবার জন্য কতো হুড়োহুড়ি।
        ভোটের দিন মা,দিদার সজ্ঞে সকাল সকাল  স্নান করে নতুন জামা পড়ে ভোটের লাইনে গিয়ে দাঁড়াতাম।বুথের ভিতর প্রবেশ করে এক কোনে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকতাম।দিদা অফিসারকে বলে আঙুলে লাগিয়ে দিতেন অমোচনীয় কালি, সে কি আনন্দ,বাইরে এসে বন্ধুদের দেখাতাম সেই কালি,'দেখ আমি ভোট দিয়েছি।'
          সারাটা দিন টো টো করে ঘুরে বেড়াতাম এ পাড়া থেকে ও পাড়ায়,বভিন্ন খামারে চাটাই বা ত্রিপল বিছিয়ে বসে থাকতেন বিভিন্ন দলের লোকেরা,কোথাও চপ মুড়ি,কোথাও বা দানাদার। আমরা ছিলাম সব দলের,পাড়ার স ম্পর্কে কেউ কাকা,কেউ কারো জ্যাঠা বা দাদু।ফলে সে চপ মুড়ি বা সামান্য দানাদার প্রাপ্তি যেন অমৃত।
                   আজ আর সে ছোটটি নেই,বড়ো হয়ে আমাদের মন নিজেদের অজান্তেই যেন হয়ে গেছে সংর্কীণ।রাজ্য সরকারী  কর্মচারী হয়ে এখন ভোট করাতে যেতে হয়।সব গ্রামের পরিবেশ আর এক রকম নয়,ফলে স্বাভাবিক ভাবে থেকে যায় একটা চাপা দুঃশ্চিন্তা,তার উপর আবার প্রাইজিং অফিসারের দায়ীত্ব,তবে আমার ভোট কেন্দ্রে যখম মা দিদার হাত ধরে কোন বালক বা বালিকা আসে,তখন মনে পড়ে যায় আমার সেই ছেলে বেলাকার কথা,মজা করে জিজ্ঞেস করি, ' কি রে,ভোট দিবি নাকি? 'ওর মা বাবার অনুরোধে সজ্ঞে সজ্ঞে দায়ীত্ব প্রাপ্ত অফিসারকে বলি,' দিন দিন,ওর আঙুলেও একটু কালি লাগিয়ে দিন।"
        ভোট আসে,ভোট যায়; ভোট এলেই মনের মধ্যে উঁকি দেয় ছেলেবেলার সেই দিন গুলো।তবে এখন গ্রাম বাংলার রাজনীতির ধরন পাল্টাচ্ছে,ভোট এলেই লাঠা-লাঠি,ফাটা-ফাটি;দাজ্ঞা,বোমা,গুলি।মৃত্যু হচ্ছে সাধারন পরিবারের মানুষদের।গ্রামের সেই সহজ সম্পর্ক গুলো দিনের পর দিন তার মাধুর্য হারিয়ে হয়ে শুধু রাজনীতির কারনে হয়ে উঠছে বিষাক্ত।ভোটে হিংসা আগেও ছিল,হতে পারে ছেলেবেলায় তা বোঝার মতো বয়স হয়নি।

গলসীর বাঘারাজাদের ঢিপি
------ফিরোজ আলী কাঞ্চন

রাঢ়বাংলার মধ্যমণি বর্ধমান জেলার গলসী এক প্রাচীন জনপদ। এর আগে এ অঞ্চলের মাটির নীচে থেকে একাধিকবার পাওয়া গেছে বিভিন্ন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, যেমন, মল্লসারুল নামক গ্রামে পাওয়া গেছে বাংলার প্রাচীন তাম্রপট্ট লিপি "মল্লসারুল লিপি"। এবার থেকে সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে খানোগ্রামে বাঘারাজাদের ঢিবি থেকে প্রাপ্ত আজ থেকে প্রায় দুহাজার বছর পূর্বের বিভিন্ন পোড়ামাটির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
      গ্রামের যেটা বারোয়ারী খেলার মাঠ সেটা আসলে এক ঢিপি,স্থানীয়রা বলেন বাঘা রাজাদের ঢিপি। আমি ঐতিহাসিক নই, পেশায় শিক্ষক, নেশা আঞ্চলিক ইতিহাস, লোকায়ত ঐতিহ্য সর্ম্পকে জানা । সেই আগ্রহ থেকেই একদিন পৌছালাম সেখানে,যা দেখলাম  বিস্ময় আর হতাশা যেন চেপে রাখতে পারলাম না। সর্বত্র যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রাচীন পোড়া মাটির বিভিন্ন ভগ্ন পাত্রের অংশ। ছোট যে ঢিপি এখনো অবশিষ্ট রয়েছে  গ্রামবাসীরা তার মাটি অবৈধ ভাবে কেটে নিয়ে ঢিপিটিকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে,আর সেই সঙ্গে সেখান থেকে প্রাপ্ত নিদর্শন গুলিকে পুরোপুরি ফেলে,ভেঙে, নষ্ট করে দিচ্ছে।আমার অনভিজ্ঞ দৃষ্টি সে সবের ঐতিহাসিক মূল্য নির্ণয় করতে অক্ষম। সময় নষ্ট না করে কুড়িয়ে নিতে থাকলাম খণ্ডবিখণ্ড  বিভিন্ন পোড়ামাটির কালো,লাল,ধূসর বর্ণের পাত্রের অংশ। জি সি পি দিয়ে  প্রায় সাত আট ফুট খাল কেটে মাটি তুলে গ্রামের রাস্তায় দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যন্ত্রদানবের থাবার আঘাতে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে সে সব পাত্র গুলি।একটি পোড়ামাটির থাম বা পিলারও দেখতে পেলাম।আমার সংগ্রহ করা দেখে উপস্থিত বাসিন্দারা হাসাহাসি করতে লাগলেন," কি সব খোলামকুচি কুড়াচ্ছেন !" কয়েকটা প্রাণীর হাড়ও পেলাম।
          সংগৃহীত  নিদর্শন গুলির ছবি দেখে বিভিন্ন  প্রত্নতাত্বিক গবেষকগণ এগুলির সময় কাল তাম্রশ্মীয় যুগের, খ্রীষ্টপূর্বাব্দের বলে অনুমান করেছেন। চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাং তাঁর গ্রন্থে গলসীকে বলেছেন উতু প্রদেশ। জগৎ রায় মুগল সম্রাট আলমগীরের কাছ থেকে যে ৪৯টি মৌজার জমিদারিত্ব পেয়েছিলেন, সেগুলির মধ্যে ' বাঘাপরগনা ' বলে এ অঞ্চলের উল্লেখ ছিল। বহু পূর্বে থেকেই গলসী অঞ্চলে ছিল বাঘারাজাদের রাজত্ব। তাদের রাজবাড়ি ছিল এই খানো গ্রামে। পার্শবর্তী বড়মুড়িয়ে  ও ছোটমুড়িয়ে গ্রামদুটির নাম হয়েছে এই খানোরাজবাড়িকে কেন্দ্রকরেই। বাঘারাজাদের রাজবাড়ি যাবার যেটা প্রধান মোড়, সেখানে গড়ে ওঠা গ্রাম হয়েছে 'বড়োমোড় 'বা বড়োমুড়িয়া,আর যেটা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়েছে ' ছোটমোড় ' বা ছোটমুড়িয়া।
      মধ্যযুগে এই বাঘারাজাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।  এর বেশী কিছু তথ্য অমিল।এই ঢিপিতে কোন রাজার প্রাসাদ ছিল?,কত সাল?সে সব আজ আমাদের উদাসীনতায় অজানা। যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেটুকুও গ্রামবাসীর অসচেতনতায় ধ্বংস হতে বসেছে।
      জানি ইতিহাসের অমূল্য এই সম্পদগুলি এ ভাবে ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করার অধিকার আমার হয়তো নেই,কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গ্রামবাসীদের অবহেলা ও সরকারের উদাসীনতায় এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।আমি সুযোগ পেলে অবশ্যই এগুলি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চাই। সেই সঙ্গে আবেদন করি যে, অবিলম্বে এখানে গলসি ব্লক আধিকারিকের উদ্যোগে অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ করা হোক। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালযের ইতিহাস বিভাগ বা রাজ্যপুরাতাত্বিক কর্তৃপক্ষের কর্তা ব্যক্তিগণ পরিদর্শনে এসে এ স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নিশ্চিত করুন।
       সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাঙালীর ইতিহাস নেই বলে আক্ষেপ করে ছিলেন। সে আক্ষেপ আজও আমাদের রয়ে গেলো। বাঘারাজার ঢিপি আজও তাই হতাশার গভীর অন্ধকারে চাপা। হয়তো এখানে পরশ পাথর নেই,হয়তো বা আছে। তার চেয়েও বড়ো কথা বাংলার আঞ্চলিক ইতিহাসের পরিপূর্ণতা এগুলির সঠিক তথ্য অনুসন্ধান ছাড়া অসম্ভব।

কিভাবে যাবেন : নবাবহাট থেকে গলসীগামী লোকাল বাসে চেপে খানো গ্রাম স্টপেজে নামতে হবে।ট্রেনে আসানসোল লোকালে খানাজংশনে নেমে টোটোয় চেপে কুল গড়িয়ে বাজার হয়ে খানো গ্রামে যাওয়া যায়, বা ঈশান চণ্ডী হল্ট ষ্টেশনে নেমেও যাওয়া যায়।








প্রাপ্ত নিদর্শনএর কিছু ছবি,আনন্দ বাজার,কলম ও উর্দু পেপারে প্রকাশিত সংবাদ।লেখাটি এই সময় পত্রিকায় প্রকাশিত।ঢিবির নিদর্শন এর সন্ধান সাল ২০১৮  ।লেখা ও ছবি অন্য কোথাও প্রকাশ নিষিদ্ধ।তথ্য অবশ্যই নিতে পারেন, কপি করবেন না,লিংক সেয়ার করতে পারেন।  
পীর মাজার।হজরত সাহেব সহিদ গঞ্জেলস্কর।ওরগ্রাম।ভাতার।বর্ধমান।পৌষ মাসের ১৯-২০ তে উরস।হিন্দু মুসলিম সব র্ধমের মানুষ সে দিন হাজির হয় মাজারে।





ছবি লেখক দ্বারা  সংরক্ষিত 

হাজরাত নয়ণ শাহ্ দারবেশ রাহামাতুল্লাহ্ আলাইয়ের মাজার শারীফ, কান্দরা পীরতলা, বর্ধমান

এই মাজার কোনও পাঁচীল দিয়ে ঘেরা নেই এবং এখানের  খাদীম এই মাজারের দানবক্সের অর্থ নীজেরা দীর্ঘ দিন থেকে আত্মসাৎ করছে, অথচ মাজারের কোনই যত্ন মেরমতি পাঁচীল দিয়ে সুরক্ষা করে না

উরষ - ১৫ ই চৈত্র

বর্ধমান ,কাটোয়া ও সালার থেকে  সরাসরি বাসে কান্দরা পীরতলা নেমে এই  মাজার যাওয়া যায়
           হাজরাত নয়ণ শাহ্ দারবেশ রাহামাতুল্লাহ্ আলাইয়ের মাজার শারীফ, কান্দরা পীরতলা, বর্ধমান

এই মাজার কোনও পাঁচীল দিয়ে ঘেরা নেই এবং এখানের  খাদীম এই মাজারের দানবক্সের অর্থ নীজেরা দীর্ঘ দিন থেকে আত্মসাৎ করছে, অথচ মাজারের কোনই যত্ন মেরামতি পাঁচীল দিয়ে সুরক্ষা করে না

উরষ - ১৫ ই চৈত্র

বর্ধমান ,কাটোয়া ও সালার থেকে  সরাসরি বাসে কান্দরা পীরতলা নেমে এই  মাজার যাওয়া যায়



হজরত শাহ সুফি বুড়ো পীর


গলসি থানার বিখ্যাত মাজারের অন্যতম  মসজিদপুর গ্রামে অবস্থিত "হযরত শাহ্ সুফি বুড়ো পির বাবার" পবিত্র মাজার শরিফ ।এই মাজারটি সুপ্রাচীন কাল থেকে অবস্থিত ।
এই মাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মাজারের চার কোণে চারটি সুপ্রাচীন তেঁতুল গাছ আছে ।
.
প্রত্যেক বছর জৈষ্ঠ্য মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বুড়ো পীর বাবার পবিত্র ঊরস্ মোবারক অনুষ্ঠিত হয় ।এই উপলক্ষে ৩-৪ দিন ধরে কলমা পড়া ,মিলাদ ,কাওয়ালি , ফকিরি ,বাউল সঙ্গিত ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় এবং প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ।
ঊরস্ এর বৃহস্পতিবার বার দিন দুপুরে খিচুরির আয়োজন করা হয় এবং হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান বিভিন্ন জাতির প্রায় 9000-10000 লোক খায় এবং গ্রামের মহিলাদের জন্য বাড়িতে খাবারের  ছাঁদা পাঠানো হয় । এই দিন বিকাল 4 ঘটিকায়  চাদর নিয়ে প্রায় 2000-2500 লোক দুটি লাইন করে  মসজিদ তলা থেকে শুরু করে নারায়ে তকবির দিতে দিতে গোটা গ্রাম ঘুরে মাজার শরিফে হাজির হয় এবং চাদর চড়ানো হয় ।প্রতি বছর প্রায় 150-200 টা  চাদর দান করেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ ।
.
এই বছরের ঊরস আজ 6ই জুন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল । আজ বিকেলে আসরের নামাজের পর মসজিদপুর জামে মসজিদ থেকে যাত্রা শুরু করে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লাইন করে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করে মাজারে এসে 150-155 টি চাদর চড়ানো হয় এবং সন্ধ্যায় মাজার প্রাঙ্গনে ধর্মীয় মিলাদ অনুষ্ঠিত হয় এবং মিলাদ শেষে আল্লাহ্-র কাছে প্রার্থনা করা হয় যাতে গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, বালা-মুসিব্বত থেকে গ্রামের মানুষদের রক্ষা করে, সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে চলতে পারে । আগামীকাল ও পরশু 7ই জুন ও 8ই জুন ফকিরি গান এবং কাওয়ালী গান অনুষ্ঠিত হবে ।এই ঊরস্ উপলক্ষে গ্রামে বিশাল মানুষের সমারোহ হয়েছে ।

  "হযরত শাহ্ সুফি বুড়ো পির বাবার" এই মাজারটি গলসি থেকে শিকার পুর লাইনের মেন রাস্তার ধারে মসজিদপুর গ্রামে অবস্থিত ।
                           - তথ্য
   হেদায়েতুল্লাহ্ কিরণ(গ্রামের বাসিন্দা)










ছবি সংরক্ষিত