বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ বিজয়চাঁদ মহতাব যেমন ছিলেন সুদক্ষ শাসক, তেমনি ছিলেন প্রজাহিতৈষী ও প্রচণ্ড জনদরদী;সেই সঙ্গে শিক্ষাদান ব্যবস্থায় আধুনিক প্রগতিশীল পরিকল্পনায় তিনি আবিভক্ত বাংলায় প্রথম কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপনকরে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
মোগল যুগ থেকে ইংরেজ আমল পর্যন্ত হিন্দুস্থানের কেন্দ্রীয় শাসকদের সঙ্গে সর্বদা বর্ধমানের মহারাজাদের ছিল খুবই সুসম্পর্ক।পাঞ্জাবের লাহোরের কম্বল ব্যবসায়ী সঙ্গম রায় পুরীর তীর্থযাত্রা হতে ফেরার পথে বর্ধমান শহরের নিকট বৈকুন্ঠপুরে বসতি স্থাপন করেন ও ব্যবসা শুরু করেন।সঙ্গম রায়ের পৌত্র আবুরাম রায় দিল্লীর সম্রাট শাহজাহানের সৈন্যরা ঢাকায় বিদ্রোহ দমন করতে যাওয়ার পথে বর্ধমানে পৌঁছালে রসদ যোগানদিয়ে সহযোগিতা করেন,যার প্রতিদানস্বরুপ সম্রাট ফরমান জারি করে আবুরাম রায়কে চার হাজারী কতোয়াল এবং মুনসেফদারী পদ প্রদান করেন।পর্যায়ক্রমে এই পাঞ্জাবি বণিক পরিবারের বংশধরগণ দিল্লীর সম্রাটদের নিকট হতে জমিদারী ক্রয় করে নেন ও কীর্তিচাঁদের পুত্র চিত্রসেন রায় ' রাজা ' উপাধি প্রাপ্ত হন।
পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশ কোম্পানী বর্ধমানের খাজনা আদায়ের দাবি জানালে তৎকালীন বর্ধমানের রাজা অপুত্রক চিত্রসেনের খুল্লতাত মিত্রসেনের পুত্র তিলকচাঁদ রায় কোম্পানীর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।কিন্তু পরাজয় অবসম্ভাবী বুঝে তিনি সন্ধি করতে বাধ্য হন এবং আনুগত্য স্বীকার করে নিয়ে কোম্পানীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে রাজ্যপাট টিকেয়ে রাখেন।এ ভাবে পরবর্তীতে বহু বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে-কখনো রাজনৈতিক অস্থিরতায় অস্ত্বিত্বের সংকট,কখনো বিদ্রোহ,যুদ্ধ,একাধিক মৃত্যু শোক,কখনো একেবারে রাজ অন্ত্য পুরে প্রবেশ করে শত্রুদের ধ্বংস ও হত্যালীলা,কখনো বা রাজ পরিবারের মধ্যেই ষড়যন্ত্র, একাধিক মামলা- মকদ্দমা প্রভৃতি বিপত্তির মধ্যদিয়েও দীর্ঘ সময় ধরে বর্ধমান বাসীকে সুশাসন দিতে সক্ষম হয়েছিল।বর্ধমান রাজাগণ বিভিন্ন রাজত্বে গ্রহন করেছিলেন একাধিক জনদরদী নীতি, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অসংখ্য নান্দনিক সৌন্দর্য মণ্ডিত মন্দির,স্থাপত্য।পৃষ্ঠপোষকতা করেগেছেন অসংখ্য কবি,সাহিত্যিক এবং জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষ্যা প্রতিষ্ঠানের।
মহারাজাধিরাজ বাহাদুর আফতাব চাঁদ(১৮৮১-১৮৮৫)ছিলেন আপুত্রক,তাঁর মৃত্যুর পর রাজকার্য পরিচালনা করতেন বিশ্বস্ত দেওয়ান বনবিহারী কাপূর।বিধবা মহিষী দত্তক নিলেন বনবিহারীর একমাত্র পুত্র বিজন বিহারী কাপূরকে,যিনি নতুন নাম গ্রহন করেন বিজয়চাঁদ মহাতাব এবং ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে ১৯ অক্টোবর আইনি বাধা অতিক্রম করে মহা সমারোহের সাথে শাসনভার গ্রহন করেন।বিজয়চাঁদ হয়ে উঠলেন প্রজাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বা দুর্বিক্ষে দীন দরীদ্র অসহায় প্রজাসাধারণকে অকাতারে বিতরণ করতে লাগলেন চাল ও বস্ত্র।এ হেন জনদরদী ও প্রজাহিতৈসী মহারাজাধিরাজের দৃষ্টি ভঙ্গি, কার্য প্রণালী ও পদক্ষেপ গুলি যে কল্যাণকর হবে তা স্বাভাবিক।
১৮৮২ সালে ভারতের শিক্ষ্যা কমিশন দেশের শিক্ষ্যার মানের করুণ চিত্র তুলে ধরেন যে প্রচলিত ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পরও সে শিক্ষ্যা শুধুমাত্র সরকারী চাকরী পাবার যোগ্য,তা জীবনের বাস্তব সমস্যাগুলি সমাধান করতে অক্ষম। বড়োলাট লর্ড কার্জন শিক্ষ্যা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে অবস্থার উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হয়েছিলেন।কার্জন বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে পুনর্গঠন ও নিয়মিত পরিদর্শনের আদেশ দেন এবং স্কুল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটান।তবুও অবস্থার তেমনকোন উন্নতি ঘটলো না।সারাদেশের সাথে বাংলারও ছিল একই সমস্যা,প্রথাগত পুঁথি নির্ভর শিক্ষ্যাব্যবস্থা শিক্ষ্যার্থীর চাকরী ছাড়া অন্যকোন কাজে লাগেনা,তা উপলব্ধি করে সমস্যা সমাধানে হাতে কলমে কারিগরি শিক্ষ্যার প্রচলনে প্রথাগত শিক্ষ্যা ব্যবস্থার বিকল্প আধুনিক শিক্ষ্যা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে সারা বাংলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বর্ধমানের মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাব,যেটি বর্তমানে ' মহারাজাধিরাজ বিজয়চাঁদ ইনস্টিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনোলজি' নামে পরিচিত।বর্ধমান মহারাজা প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি অখণ্ড বাঙ্গের প্রথম কারিগরি বিদ্যালয়। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত সারা বাংলায় কারিগরি বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র চারটি,এগুলির মধ্যে আমাদের বর্ধমানেরটিই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন,বাকী তিনটি ছিল ঢাকা,রাজশাহী ও পাবনায়।দেশ স্বাধীন হলে দুটি চলেযায় ওপার বাংলায়,এপার বাংলায় রয়ে যায় বিজয়চাঁদ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ্য মহারাজ বিজয়চাঁদ পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন,তিনি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইউরোপ পরিভ্রমণ করেছেলিন, সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছিলেন-' ডায়েরি অফ অ্যান ইউরোপীয় ট্যুর ' নামে একখানি গ্রন্থ।আধুনিক শিক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা,সমাজসেবা ও সাহিত্য সংস্কৃতি মূলক আয়োজনে বিজয় চাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা বাংলা তথা সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল।১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টম বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন বিজয়চাঁদের উদ্যোগে বর্ধমানে আয়োজিত হয়।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতে তিনি অনুদান দেন,শুধু তাই নয় কলকাতা চিড়িয়াখানায় তাঁর অনুদান সুবিদিত। এছাড়াও তিনি রাঁচিতে আর্ট কলেজ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।১৯০৪খ্রিষ্টাব্দে গর্ভনর জেনারেল লর্ড কার্জনের বর্ধমান আগমন উপলক্ষ্যে নির্মাণ করেছিলেন ' কার্জন গেট ',যা বর্তমানে ' বিজয় তোরন ' নামে মূল শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যময় স্থানরুপে বর্ধমানের গরিমা বৃদ্ধি করেআছে।বিজয় চাঁদের আর এক মহান কীর্তি ১৯০৭খ্রিষ্টাব্দে 'ফ্রেজার হসপিটাল ' প্রতিষ্ঠা, যা গ্রামীন স্বাথ্য পরিসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।এই হসপিটাল প্রতিষ্ঠায় তিনি তখনকার দিনে এক কালীন ৮০হাজার টাকা এবং বার্ষিক সাড়ে বারো হাজার টাকা অনুদান দেন।তৎকালীন বাংলার গভর্নরের এনড্রু ফ্রেজারের নাম অনুসারে তিনি হসপিটালটির নাম করণ করেছিলেন,এই ফ্রেজারকে একবার তিনি কলকাতার এক মিটিং হলে এক সংগ্রামী বিপ্লবীর ছোড়া গুলিথেকে প্রাণে বাঁচিয়ে ছিলেন,সেই থেকে সখ্যতা গভীর হয়েছিল।এছাড়াও ১৯৮১ সালে বিজয়চাঁদ চালু করেছিলেন ' রোনাল্ডসে মেডিক্যাল স্কুল ',এ খানে চিকিৎসকদের প্রসূতিসেবার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো,স্কুলটি চালু ছিল ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
বিজয়চাঁদ প্রতিষ্ঠিত বাংলার প্রথম কারিগরি প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান নাম ' এম.বি.সি.ইনস্টিটিউট-অব ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনোলজি ',১৮৯৩খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে যখন শহরের পুরাতনচক এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি প্রথম গড়ে উঠেছিল তখন নাম ছিল ' ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড টেকনিক্যাল স্কুল অব বর্ধমান '।তার পর একাধিকবার স্কুলটির অবস্থান পরিবর্তন ঘটে,পুরাতন চক থেকে উঠে যায় সদর থানার সামনে যেখানে এখন উদয়চাঁদ গ্রন্থাগার আছে সেখানে,ওখান থেকে উঠে আসে বর্তমান অবস্থানে সাধনপুরে মহারাজদের অতিথিশালা ' ডি বার্জ ' হাউসে।
বিজয়চাঁদের কারিগরি শিক্ষা প্রচলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রজাসাধারণের সন্তানেরা যাতে আধুনিক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হয়ে স্বনির্ভর হতেপারে।এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানটির ব্যায়ভার বহন করতেন বিজয়চাঁদ,আর কিছু অর্থ অনুদান দিত বেঙ্গল গর্ভমেন্ট, ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড ও মিউনিসিপালিটি। বর্ধমান গবেষক নীরদবরণ সরকারের 'বর্ধমান রাজ ' গ্রন্থ হতে জানাযায় এই কারিগরি বিদ্যালয়ে প্রবেশের শিক্ষাগত প্রাথমিক যোগ্যতার মান ছিল এম.ই.(ষষ্ঠ শ্রেণি)।প্রথমদিকে ছাত্র সংখ্যা ছিল খুবই অল্প।এই স্কুলে ১৯২৮খ্রিষ্টাব্দে চালু করা হয়েছিল চার বছরের জুনিয়র মেকানিকাল পাঠক্রম।
প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সহজ,বরং তা পরিচালনা করা কঠিন।১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে বিজয়চাঁদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শনের জন্য এক কমিটি গঠন করেন,কোন স্কুল কলেজের শিক্ষাদানের মানের অবনমনের সংবাদ পেলেই তিনি পরিদর্শন কমিটির অনুসন্ধান তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতেন।একবার তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির গুণগত মানের যাচাইয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে জেলার পুরো শিক্ষাকাঠামোটাই বদলে ফেলতে চেয়েছিলেন।বয়স্ক প্রধান পণ্ডিতদের অবসর দিলেন,নবীন শিক্ষকদের কড়াভাবে সচতেন করলেন।যেসব অধ্যক্ষরা অযোগ্যবলে বিবেচিত হলেন তাঁদের বিদালয়ে বদলি করলেন এবং বিদ্যালয়ের যোগ্য শিক্ষকদের অধ্যাপক পদে পাঠালেন।রাজস্কুলের পড়াশুনার মান সবচেয়ে নীচে নেমে গিয়েছিল,এ নিয়ে মহারাজ অসন্তুষ্ট প্রকাশ করলেন।শুধু তাই নয়,তিনি অভিভাবক ও ছাত্রদেরকেও সতর্ক করেন।যে সব বিদ্যালয় অবৈতনিক ছিল সেগুলিতে মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করলেন,যুক্তি ছিল পয়সা খরচকরে পড়লে ছাত্র ও অবিভাবদের ভালো ফল করার তাগিদ থাকবে,সেই সঙ্গে বিজয়চাঁদ পুরস্কার স্বরুপ যে ছাত্ররা খুব ভালো ফল করবে তাদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে এবং যারা মাঝারি ফল করবে তাদের অর্ধবেতনে পড়ার সুযোগ দিলেন।শিক্ষার প্রসারে ও শিক্ষার মানের উন্নতি সাধনে বর্ধমান মহারাজের এ সব নতুন ধরনের চিন্তা ভাবনা, পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।
মহারাজের তত্বাবধানে পরিচালিত টেকনটিক্যাল স্কুলটিতে প্রথমদিকে পড়ানো হতো তিন বছরের ' আর্টিজেন কোর্স ',ছিল লোয়ার সাব অর্ডিনেট পাঠক্রম,চালু হয়েছিল সাব ওভার সিয়ার পাঠক্রম।ক্রমে ' ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড টেকনটিক্যাল স্কুল অব বর্ধমান ' এর খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে,১৯৪৪খ্রিষ্টাব্দে বাংলার গর্ভনর মিঃ ক্রেসী সে কথা স্বীকার করেছিলেন।দেশ স্বাধীনের পর১৯৫০খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠাটি সাধনপুরে স্থান্তরিত হয় এবং নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'মহারাজাধিরাজ বিজয়চাঁদ ইনস্টিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনোলজি '।১৯৭৭খ্রিষ্টাব্দে এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বিকৃতী পায়।বর্তমানে ডিপ্লোমা স্তরের এই টেকনিক্যাল কলেজটি কেন্দ্রের ' অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন' অনুমোদন প্রাপ্ত। এভাবে ১২৫ বছর অতিক্রম করে বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ প্রতিষ্ঠিত অবিভক্ত বাংলার প্রাচীন এবং স্বাধীন ভারতে পশ্চিম বঙ্গের সর্ব প্রথম প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ' এম.বি.সি. ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড টেকনোলজি ' কলেজটি বর্তমানে পূর্ব ভারতের অন্যতম কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রুপে বিবেচিত।
---------------------------------------
সংযোজন ঃ আফতাবচাঁদ মহাতাব ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বর্ধমানের রাজ সিংসনে বসেন,১৮৮১ তে সাবালক প্রাপ্ত হয়ে রাজ্যভার গ্রহণ করেন।খুব অল্পকাল ছিল ইনার সময়সীমা।১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ ২৫ শে মার্চ ইনার মৃত্য হয় অপুত্রক অবস্থায়।
মহারাজের বিধবা পত্নী দত্তক নেন বিজয়চাঁদ মহাতাবকে,বিজয় চাঁদের জন্ম ১৯ অক্টোবর ১৮৮১।মৃত্য ২৯ আগষ্ট ১৯৪১
১৮৯৩ এর এপ্রিলে বিজয়চাঁদ পুরাতন চকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ' ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড টেকনিক্যাল স্কুল অব বর্ধমান '--এটিই বাংলার প্রথম ও একমাত্র কারিগরি বিদ্যালয় ছিল
এই প্রতিষ্ঠানটি পরে প্রথমে সদরত থানার সম্মুখে ও পরে সাধনপুরে স্থানান্তরিত হয় এবং পরবর্তীতে বিজয়চাঁদের নামে রুপান্তরিত হয়।
তথ্যসূত্রঃ
★বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্তঃশ্রী নীরদবরণ সরকার
★বর্ধমান রাজ ঃ আব্দুল গণি খান
★বর্ধমান চর্চা ঃ বর্ধমান অভিযান গোষ্ঠী