বজ্ঞদেশের প্রাচীনতম তাম্রপট্ট লিপিঃমল্লসারুল লিপি
ফিরোজ আলি কাঞ্চন
১৯৩৯সালে গলসীর মল্লসারুল গ্রামে জারুল নামে এক পুকুরে পাক তোলার সময় পাওয়া যায় একটা তাম্রশাসন,গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন এটা সমগ্র বজ্ঞদেশের প্রচীনতম তাম্রপট্ট লিপি। যখন উদ্ধার হয় তখন লিপিটির প্রথম কয়েকটি অক্ষর নষ্ট হয়ে গেছে__
"...নাথঃ যঃ পুংসাং সুকৃতকম'ফলহেতুঃ
সত্যতপোময় মূতি'ল্লোকদ্বয় সাধনো ধম'ঃ
তদুনুজিতদনভ শোভা জ য়..."
এই লিপিটর পাঠোদ্ধার করেছিলেন ননীগোপাল মজুমদার,তিনি এই লুপ্ত অংশের অনুমান করেছিলেন_"জয়তিশ্রী লোকনাথঃ"।কিন্তু ডঃসুকুমার সেন তার "বাজ্ঞালা সাহিত্যের ইতিহাস" গ্রন্থে(প্রথম খন্ড) এই অনুমানকে খন্ডন ক রে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছেন,_"...মুদ্রায় আকা এই ছবি হ ইতে মনে হয় শ্লোকটি রাজদেবতা ধমে'র বন্দনা।"
ডঃসেনের মতকে গ্রহন করা হলে বোঝাযায় লৌকিক দেবতা তথা লোকধম' সেই প্রাচীন কাল থেকে ক তো গভীর প্রভাব বিস্তার ক রেছিল গলসী তথা ব ধ'মানের মাটিতে।তাছাড়া এই তাম্রপট্ট লিপিতে সব'প্রথম বধ'মান ভুক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়।
এখানে উল্লেখিত মহারাজ বিজয় সেনের রাজত্ব কাল ছিল ৫০৭__৫৪৩খ্রীঃ।মল্লসারুল লিপি আসলে একটি ভূমিদান পত্র।এই লিপিতে গ লসী অঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামের প্রাচীন নামের উল্লেখ পাওয়া যায়,যেগুলি অপভ্রংশিত হ য়ে এই অঞ্চলে আজ ও রয়ে গেছে,ডঃ সুকুমার সেন এই নামগুলি উদ্ধার করেছেন___
বত'মান নাম লিপিতে থাকা নাম
মল্লসারুল > আম্রগতি'কা
বাকতা > বককত্তক
আদড়া > অধিঝকরক
কইতারা > কবিন্থবাটক
মহড়া > মধুযাটক
সিমলোড়। > শান্মলী ঘাটক
লিপিটির বিষয় পার্শবর্তী বেশ কিছু গ্রামের ব্যক্তির কাছথেকে স ম্পত্তি ক্রয় করে তা কৌণ্ডিন্য গোত্রীয় ব্রাম্ভন বৎসস্বামীকে প্রদান পত্র।এই দাতা ছিলেন বিজয় সেন,প্রথমে ইনি ছিলেন গুপ্তশাসনের শেষ পর্বের শাসক বৈন্যগুপ্তের সামন্ত,পরে গোপ চন্দ্রের সামন্ত হন।এই লিপিতে তখনকার দিনের রাজকর্মচারীদের বেশ কিছু পদবীর নাম পাওয়া যায়,যেমন -' আগ্রাহারিক','বিথ্যাধিকরণ ',' বাহনায়ক ' ইত্যাদি।
মল্লসারুল লিপি গলসীর ঐতিহাসিক উপাদনের এক উল্লেখ যোগ্য দলিল।
---------------------------
মোঃ8617386904
No comments:
Post a Comment