Friday, May 22, 2020





বহুরপীঃনতুন প্রজন্ম আর এ পেশায় আসতে চায় না।

                                        ফিরোজ আলী কাঞ্চন

দারিদ্র্য যেন নিত্য সজ্ঞী,বছর বারো ছৌদ্দর ছেলেটি ছেলেবেলার স্বাভাবিক প্রবনতাকে হতাশার ঘরে শেকল তুলে রেখে এসে ছিন্ন পোষাকে বহুরুপী সেজে পথে নেমেছে ভিক্ষায়।কৌতুহলী হয়ে ভালোবেসে কাছে ডাকলাম,শুধালাম ওর বহুরুপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রকৃত জীবনের রুপের কথা।
             বাড়ি বীরভূমে,পরিবারের সকলের সাথে এসেছে বধ'মানে।দূগা'পুর,আসানসোল থেকে গলসী হয়ে মূল বধ'মান শহরে ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।পরিবার বলতে মা,বাবা আর দুই ভাই।আজকে বাবা আর ভাই সেজেছে হুনুমান,মা সেজেছে সুপ'নখা,আর ও সেজেছে মহাদেব।সবাই এক এক দিকে ঘুরছে।আর ওদের দেশের গ্রামের সবাই বহুরুপী সাজে,ওরা পশ্চিম বজ্ঞের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।অনেক কাল থেকে ওরা এ পেশায় যুক্ত।
           কিন্তু বড়ো হয়ে আর ও এ পেশায় থাকতে চায় না,কেন না এ পেশায় আজ কাল আর তেমন পয়সা হয় না বলে ওর বাবা ওকে বলেছে মোটর সাইকেল গ্যারেজে কাজে লাগিয়ে দিবে।জিনিসের দাম বাড়ছে,নতুন পোশাক কেনার মতোও রোজগার হয় না,ফলে একই পোশাকে একই সাজ সেজে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে,সারা দিন ঘুরে ঘুরে জন প্রতি আয় ৭০_৮০টাকা।
             ছেলেটির ছিন্ন সাজই ওর বক্তব্যের স্বপক্ষেপ্রমান দিল,মনে হলো কৈলাস থেকে স্বয় ং মহাদেব যেন নেমে এসেছেন এই বালক ব হুরুপীর রুপের অন্তরালে, কেননা দারিদ্রতা যে ম হাদেবেরও নিত্য সজ্ঞী।
          আধুনিকতার সব'নাসা শ্রোতে আমরা হারিয়ে যেতে বসেছি আমাদের লোক ঐতিহ্য গুলিকে,এগুলির প্রতি আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।

No comments:

Post a Comment