Tuesday, September 3, 2019

হাজড়াডাঙ্গা ঢিবি থেকে প্রাচীন প্রত্নসম্পদ







রাঢ়বঙ্গের মধ্যমণি বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিকবার আবিস্কৃত হয়েছে বিভিন্ন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন।সেই প্রস্তর যুগ হতে বিভিন্ন সময়ে বসবাসকারী মানব গোষ্ঠীর জীবন যাত্রার বিবর্তনের ধারার একাধিক নিদর্শন আমাদের  বর্ধমান জেলায় পাওয়া গেছে।আউসগ্রাম অঞ্চলের সিলুট বসন্তপুরে হাজড়া ডাঙা হতে পাওয়া এই প্রান্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলি যেন সেই ধারায় নতুন এক অধ্যায় যোগ করলো।















এর আগে এই আউসগ্রাম অঞ্চলে পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে খনন কার্য চালিয়ে আবিস্কৃত বিভিন্ন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন গুলিথেকে প্রমাণিত হয়েছে যে পাণ্ডুরাজার ঢিবি অঞ্চলের সভ্যতা ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরানো।







আমার বাড়ি যদিও গলসি অঞ্চলে,এর আগে আমাদের ওখানে খানোগ্রামে বাঘারাজার ঢিবি হতে বিভিন্ন প্রত্নসামগ্রী সংগ্রহ করে আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম।এই সিলুট বসন্তপুরের আমার এক আত্মীয়র কাছথেকে জানলাম এখানে হাজড়া ডাঙায় কবরস্থানে মাটি কাটতে গিয়ে বিভিন্ন মাটির পাত্রের ভগ্ন অংশ বেড়িয়ে আসে।কৌতুহলী হয়েএসে দেখলাম খানোর বাঘারাজার ঢিবি হতে প্রাপ্ত নিদর্শন গুলির সঙ্গে এগুলির সাদৃশ্য রয়েছে।অনুমান করাযেতে পারে কালো,ধূসর, লাল বর্ণের এই মাটির পাত্রগুলি তাম্রশ্মীয় যুগের।
    হাজড়া ডাঙার কিছুটা অংশ গোরস্থান রুপে ব্যবহার  করাহয়,বাকী অংশ খেলার মাঠ।অবশ্যই এখানে ছিল প্রাচীন সভ্যতা,খেলার মাঠে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খনন কার্যচালালে আরো অনেক কিছুই পাওয়াযেতে পারে।
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র বাঙালীর ইতিহাস নেই বলে আক্ষেপ করেছিলেন।সেই আক্ষেই যেন আমাদের আজো রয়েগেল।

ফিরোজ আলী কাঞ্চন
শিক্ষকঃজামালপুর থানার অন্তগর্ত টেরাপুর পল্লীমঙ্গল হাই মাদ্রাসা
গ্রামঃখেতুড়া,গলসি,বর্ধমান
9153735310 

No comments:

Post a Comment