Friday, April 10, 2020


ঐতিহময় গ্রাম গলসির চান্না

                        ফিরোজ আলী কাঞ্চন


রাঢ়বঙ্গের মধ্যমণি বর্ধমান জেলা এক প্রাচীন জনপদ।বর্ধমান জেলার বিভিন্নপ্রান্তে ছড়িয়ে ছিটেয়ে থাকা গ্রামগুলি ইতিহাস,সংস্কৃতি ও লোকায়ত ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ;তেমনই এক সমৃদ্ধময় গ্রাম পূর্ব বর্ধমানের গলসি অঞ্চলের চান্না।বহুপূর্বে  চান্নাগ্রামে যাবার পথে ছিল গভীর শালবনের জঙ্গল,আর সেই জঙ্গলে ছিল ঠ্যাঙাড়েদের রাজত্ব,লোকমুখে তাই প্রচলিত ছিল-' যদি যাও চান্না / ঘরে উঠবে কান্না।'
কুলগড়িয়া বাজার থেকে বা খানা জংশন স্টেশন থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার উত্তর দিকে খড়িনদীর তীরে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে শান্ত নিরিবিলি এই গ্রামটির মাটি দুই বিখ্যাত ব্যক্ত্বিত্বকে লালন-পালন করেছে,এঁরা হলেন মধ্যযুগের শাক্তপদাবলী সাহিত্যের বিখ্যাত কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্য ও অগ্নিযুগের ব্রম্ভা অভিধায় অভিহিত বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বা স্বামী নিরালম্ব।


   সাধক কমলাকান্ত


           যদিও আনুমানিক ১১১৭ সালে(ইং-১৭৭০খ্রিঃ)অম্বিকা কালনায় বাংলা শাক্তপদাবলির অন্যতম কবি সাধক কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্য জন্ম গ্রহন করেন,কিন্তু অকালে পিতা মহেশ্বর ভট্টাচার্য্যের মৃত্যু হওয়ায় মাতা মহামায়াদেবী তাঁর দুই সন্তান কমললাকান্ত ও শ্যামকান্তকে নিয়ে চলে আসেন বাপের বাড়ি গলসীর চান্না গ্রামে।মামা নারায়ণ ভট্টাচার্য্য এঁদের বেশকিছু জমি গবাদি পশু প্রদান করেন।কবির পৈতে দিয়েছিলেন এই মামা নারায়ণ ভট্টাচার্য্য।কমলাকান্তের ' সাধকরঞ্জন ' গ্রন্থে পাওয়া যায়--

          ' অতপর কহিশুন আত্মনিবেদন।

           ব্রাম্ভণ কূলে উপনীত স্বামী নারায়ণ।'

              এই সময়য় চান্না গ্রাম ছিল শিক্ষা দীক্ষ্যার পীঠস্থান।কমলাকান্ত গ্রামের টোলে ব্যাকরণ শাস্ত্র অধ্যায়ন করেনে এবং পরে তিনি নিজে একটি টোল প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাপনা করতে থাকেন।কমলাকান্ত অবসর সময়ে গ্রামের মেঠো পথে উদাস হয়ে ঘুরে বেড়াতেন।পুত্রের সংসারের প্রতি উদাসীনতা দেখে মাতা মহামায়াদেবী কমলাকান্তের বিবাহ দিয়েদেন বর্ধমানের লাকুড্ডিতে ভট্টাচার্য্য পরিবারে।

                বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েও সংসারী হতে পারলেন না কমলাকান্ত।সর্বদা গ্রামের বিশালাক্ষী মন্দিরে উদাস মনে বসে থেকে ' মা-মা ' বলে ডাকতেন।মন্দির সংলগ্ন পুকুরপাড়ে বায়ুকোণে এক পঞ্চমুণ্ডির আসন স্থাপন করে সাধনায় মগ্ন থাকতেন।সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলে কমলাকান্তের খ্যাতি বহুদূর ছড়িয়ে পড়ল।এদিকে দারিদ্র যেন নিত্য সজ্ঞী,সংসারে অভাব যেন দিনের দিন বেড়েই চলল।সাধকের এক অবস্থাসম্পন্ন ধনী ভক্ত চান্নায় এসে গুরুর আর্থিক দুরাবস্থা দেখে আবার কালনায় নিয়ে যান।সেখানেও কবি এক পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে সাধনা শুরু করেন।কিন্তু এখানের অবস্থান সুখকর হয় না,কিছুদিনের মধ্যেই মাতা মহায়াদেবীর মৃত্যু ঘটে।কবি ফিরে আসেন চান্নায়,এখানে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার এক দুর্ঘটনা,বিপত্নীক হন কবি।

         কমলাকান্ত দ্বিতীয় বিবাহ করেন কাঞ্চন নগরে,এই স্ত্রীর গর্ভে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।দারিদ্র তবুও যেন পিছু ছাড়ে না,সবদিন চালও জুটটো না,এমনই এক অভাবের দিনে এক শ্যাম বর্ণা মহিলা সাধকের বাড়িতে হাজির,সজ্ঞে দুই লম্বা চওড়া লোকের মাথায় ঝুড়ি ভর্তি চাল,আলু তরিতরকারী।কমলাকান্তর চান্না অভস্থান কালে প্রচলিত আছে এমনি সব কাহিনী।আরো প্রচলিতলিত আছে যে বিশালাক্ষী দেবীর মন্দিরের পুজোয় শোল ও মাগুর মাছ লাগবেই,কিন্তু কোথাও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না,এমন সময় শুনলেন পাশের পুকুরে জলের থেকে কারো উঠে আসার শব্দ,দেখলেন এল কালো কুচকুচে মেয়ে মাছ নিয়ে হাজির,হাসতে হাসতে বললো, ' আমি বাগদি পাড়ার মেয়ে গো,শুনলাম পুজোর জন্য তুমি কোথাও মাছ পাচ্ছো না,তাই দিতে এলাম,'।সাধক বললো,' কিন্তু আমার কাছে যে এখন পয়সা যে নেই মা ',বাগদি মেয়ে বললো,' সে তুমি কাল পাড়ায় দিয়ে এসো।'পরের দিন সারা বাগদি পাড়া তন্ন তন্ন করেও সেই কন্যার দেখা পাওয়া যায়নি।

           সাধক কমলাকান্তের মহিমার কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকলো দিকে দিকে।দেওয়ান রঘুনাথ রায়ের পরামর্শে বর্ধমানের মহারাজ তেজচাঁদ তাঁর রাজসভার সভাকবি রুপে নিযুক্ত করেন সাধক কবি কমলাকান্তকে।মহারাজ কমলাকান্তকে কোলাহাটে একটা মায়ের মন্দির নির্মান করেদেন এবং বাৎসরিক বৃত্তির বন্দোবস্ত করেদেন।সাধকের জীবনে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়ের।

--------------------------------
     বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়

জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম দিকে দলে প্রাধান্য ছিল মডারেট বা নরমপন্থীদের,এঁরা ব্রিটিশ সরকারে সজ্ঞে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পরাধীন দেশবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষা পুরন করতে চেয়েছিলেন,কিন্তু কার্জনের বজ্ঞভজ্ঞ বিরোধী আন্দোলনের সময় নরম পন্থীদের সজ্ঞে চরম পন্থীদের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই দুটি ধারারই ব্যপক প্রভাব বাংলার অনান্য স্থানের সজ্ঞে সজ্ঞে বর্ধমান জেলাতেও পড়েছিল,অনেক তরুণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশ স্বাধীনের মহান ব্রতে।
                    বর্ধমান জেলাতে চরমপন্থী আন্দোলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়।১৮৭৭খিষ্টাব্দে ১৯নভেম্বর  উনিশ শতকের বৈপ্লবীক সংগ্রামের অগ্নিময় প্রতিমূর্তি এই যতীন্দ্রনাথবন্দোপাধ্যায়ের জন্ম গলসীর চান্না গ্রামে।এই চান্না গ্রামে আবার বাংলা শাক্তপদাবলীর বিখ্যাত পদকর্তা সাধক কবি কমলাকান্তের গ্রাম,যদিও কবির জন্ম অম্বিকা কালনায়,কিন্তু অকালে পিতৃবিয়োগের জন্য তিনি মায়ের সজ্ঞে চলে আসেন চান্নায় ;এখানের বিশালাক্ষী মন্দিরে পঞ্চমুন্ডি আসনে সাধক কবি সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছিলেন।
               সে যাই হোক,যতীন্দ্রনাথ ছিলেন বলিষ্ঠ সুস্বাস্থের অধীকারী,গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক পাঠ  সমাপ্ত করে তিনি বর্ধমানের রাজ কলেজে ভত্তি হলেন।চাত্রাবস্থাথেকেই যতীন্দ্রনাথের মনে স্বদেশ প্রেম আর জাতীয়তাবোধের সঞ্চার ঘটতে থাকে।তিনি স্থর করেন সামরিক বিভাগে যোগদিয়ে যুদ্ধের রণকৌশল আয়ত্ব করে তা দেশহিত ব্রতে প্র য়োগ করা।কিন্তু পিতা কালিচরণ বন্দোপাধ্যায়ের ইচ্ছে পুত্র কোন সরকারী উচ্চপদে চাকরী করুক।যতীন্দ্রনাথ রাজকলেজ থেকে এফ. এ. উত্তীর্ণ হয়ে বরোদায় নিজের নাম গোপন রেখে ছদ্মনামে অশ্বারোহী বিভাগে কাজে যোগদেন ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে।

বররোদার রাজ কলেজের অধ্যক্ষ্য তখন শ্রী অরবিন্দ ঘোষ।সেখানে দুজনের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে।যতীন্দ্রনাথ অরবিন্দ ঘোষের কাছে বিপ্লব মন্ত্রে দীক্ষিত হন।তরুন যুবক যতীন্দ্রনাথ অরবিন্দর কাছে অনুরোধ জানান দেশের কাজে নিজেকে নিবেদিত করার সুযোগ করে দেবার জন্য।অরবিন্দ তাঁর সসহোদর বারীন্দ্র কুমার ঘোষের সজ্ঞে যতীন্দ্র বন্দোপাধ্যায়কে

কলকাতায় পাঠান বভিন্ন গুপ্ত সমিতি ও বপ্লবী দলগুলির সজ্ঞে গোপনে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য।
        অরবিন্দ ঘোষের নির্দেশে ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে যতীন্দ্রনাথ কলকাতায় ফিরেএসে চার নম্বর শ্যামাপুকুর লেনে যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষনের বাড়িতে অবস্থান করে অনুশীলন সমিতির সজ্ঞে নিজেদেরকে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্তকরে দেন।বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে সজ্ঞেনিয়ে কানাইলাল দত্ত,সত্যেন বসু,উল্লাসকর দত্তদের সাহায্যে মানিকতলার মুরারিপুকুর লেনে এক বোমাতৈরীর কারখানা গড়ে তুলেন,এই কারখানাকেই কেন্দ্রকরেই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিখ্যাত মানিকতলা বোমামামলার কাহিনী।

         বজ্ঞভজ্ঞ আন্দোলনের পথনির্দেশিকা প্রদানের জন্য যতীন্দ্রনাথ ও বারীন্দ্রকুমার কল কাতায় আসার জন্য অরবিন্দ ঘোষকে আহ্বান জানান।অরবিন্দ বরোদার কলেজের সাড়ে সাতশত টাকার বেতনের চাকরী ছেড়েদিয়ে কলকাতায় এসে মাত্র পঁচাত্তর টাকার বেতনে জাতীয় কলেজে যোগদেন।যতীন্দ্রনাথ তাঁর তৈরীকরে দেওয়া বাংলা মায়ের একদল দামাল ছেলেকে অরবিন্দের দায়ীত্বে অর্পণ করে গুরু অরবিন্দের মন্ত্র শিষ্য হয়ে বৈপ্লবিক মতাদর্শকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

          এই সময়ে পাঞ্জাবে করবৃদ্ধি ও চন্দ্রভাগা খালের জল কর আইনকে কেন্দ্রকরে বিপ্লববাদী শক্তি বৃদ্ধি পেতেথাকে।যতীন্দ্রনাথ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাঞ্জাবে পৌঁছে সেখানের বিখ্যাত বাবা গুরুদিৎ সিং সাহেবের সজ্ঞে সাক্ষাৎ করে বিপ্লবী দের একটি শাখা প্রতিষ্ঠিত করেন,যে শাখার অন্যতম সদস্য ছিলেন ভগৎ সিংয়ের পিতা কিশন শিং;এক কথায় যতীন্দ্রনাথ পাঞ্জাবে যেন ' গদর পার্টি 'র বীজ রোপন করে দিয়ে আস লেন।

        এতো কিছুর মধ্যেও যতীন্দ্রনাথের মনের গোপন কুঠিরে মাঝে মধ্যে যেন উদয় হতো এক একেবারে বিপরীত এক জীবনাদর্শন,তিনি যেন এই তীব্র বৈপ্লবিক জীবনের বাইরে আধ্যাত্মিক ভাবনায় মাঝেমধ্যে গভীর ভাবনায় তলিয়ে যেতে লাগলেন।আলমোরাতে অবস্থান কালে আধ্যাত্মিক সাধক শ্রীমৎ সোহহং স্বামীর নৈকট্য যেন যতীন্দ্রনাথকে পুরোপুরি বদলে দেয়,  সন্যাস গ্রহন করে নামনেন স্বামী নীরালম্ব।

               স্বগ্রাম চান্নায় ফিরে এসে স্বামী নীরাল ম্ব  খড়ি  নদীর তীরে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত করলেন একটি আশ্রম।কিন্তু এই আশ্রমটি ক্রমে হয়ে উঠল কলকাতা থেকে বহুদূরে ব্রিটিশ পুলিশের চোখ এড়িয়ে বিপ্লবীদের আত্মগোপন করে থাকার বাংলার এক শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থান।রাসবিহারী বসু,ভগৎ সিং য়ের পিতা কিশন সিং সহ অসংখ্য বিপ্লবীর পদ ধূলি ধন্য এই চান্নার স্বামীনীরালম্বের আশ্রম।

          শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় ১৯২৭খ্রিষ্টাব্দে স্বামী নীরালম্বকে তাঁর অন্যতম শিষ্য শ্রী বিজয় বসন্ত বসাক বরাহ নগরে নিজের উদ্যান বাটিতে চিকিৎসার জন্য নিয়েযান,এই সময় ভগৎ সিং ক লকাতায় ছিলেন,তিনি এসে স্বামী নীরালম্বের আর্শিবাদ গ্রহন করেন।অবশেষে ১৯৩০খ্রিষ্টাব্দে অগ্নিযুগের ব্রম্ভা নামে বাংলার চরমপন্থী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে সম্মানীয় স্বামী নীরালম্ব শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

            এ হেন ঐতিহ্যময় চান্না গ্রামের স্বামী নীরালম্বের আশ্রম আজ প্রচারের অন্তরালে।নেই কোন নজরদারি বা রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা।এক বৃদ্ধ সন্যাসী দেখাশুনা করতেন তিনিও গত হ য়েছেন।এ প্রতিবেদককে তিনি প্রায়ই আক্ষেপ ক রে বলতেন,এই আশ্রমটিকে আর হয়তো রক্ষা ক রা যাবে না,আমি মারা গেলে কে আর দেখবে।" আশ্রম সংলগ্ন আদিবাসী  পাড়ার বাসীন্দারাই এখন মূলত তাদের ক্ষুদ্র সাধ্যমতো আগলে রেখেছে এই দেশপ্রেমের ঐতিহ্যময় স্থানটিকে।মাঝে মধ্যে বাৎসরিক অনুষ্ঠান কিছু উৎসাহী ব্যক্তি দ্বারা আয়োজিত হলেও সরকারী ভাবে এ আশ্রমটি অধিগ্রহন না করলে অচিরেই হয়তো হারিয়ে  যাবে।

   দুঃখের বিষয় এহেন চান্নাগ্রামের ঐতিহ্য আজ প্রচারের অন্তরালে।বহুবছর আগে কুলগড়িয়া বাজারে হাইওয়ের ধারে  সাধক কমলাকান্ত বা যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধায়ের নামাঙ্কিত চান্নাগ্রাম যাবার পথনিদর্শক ফলক দেখাযেত,কিন্তু এখন তাও নেই।অথচ ঐতিহ্যের গুরুত্বে চান্নাগ্রামে কমলাকান্তের বসতভিটে ও বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ বা স্বামীনীরালম্বের আশ্রম হেরিটেজ হিসেবে ঘোষানার দাবিরাখে।
-------------------------------------
 চান্না গ্রামে কমলাকান্তের বসত ভিটায় সাধকের মূর্তি
     ৷ বিশালাক্ষী মন্দির
৷ ৷৷ ৷  এখানে পঞ্চমুণ্ডির আসনে সাধনা            করতেন
           স্বামী নীরালম্বের আশ্রম
     



No comments:

Post a Comment