Thursday, February 6, 2020


জি.আই.স্বীকৃত বর্দ্ধমানের সীতাভোগ  আর মিহিদানার
             
                                                   
রসোগোল্লা নিয়ে বাংলা আর ওড়িশার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও সীতাভোগ আর মিহিদানা যে বধ'মানের তা এতোদিনে নিশ্চিত হওয়া গেলো ২০১৭ সালে।দাজি'লিংয়ের চা,নবদ্বীপের দই,জয় নগরের মোয়া,ধনেখালির শাড়ি ইত্যাদির মতো বধ'মানের সীতাভোগ ও মিহিদানা
           বধ'মানে সীতাভোগ ও মিহিদানার জন্ম কাহিনী নিয়ে দুটি মত প্রচলিত।প্রথমত,১৯০৪সালের ৯আগষ্ট তখনকার ভাইসরয় লড' কাজ'ন এবং লেডি কাজ'ন বধ'মানে এসেছিলেন,ইনাদের আপ্যায়নের জন্য বধ'মানের মহারাজ বিজয় ছাঁদ মহাতাব নগরের নামকরা মিষ্টান্ন  প্রস্তুতকারী ভৈরবচন্দ্র নাগকে কোন নতুন ধরনের সুস্বাদু  মিষ্টি  তৈরীর প্রস্তাব দেন।ভৈরব চন্দ্র নাগ মহারাজের অনুরোধে প্রস্তুত করলেন দুটি অসাধারন মিষ্টান্ন, মূল উপকরণে সবেদা বা গোবিন্দভোগ চালের গুড়ি দিয়ে সীতাভোগ  আর বেসন দিয়ে মিহিদানা।আবার অন্যমতে ১৯০৬সালে বধ'মানে হওয়া নিখিল বজ্ঞ সাহিত্যসম্মেলনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সম্মানীয় বিজ্ঞজন দের জন্যই নাকি প্রথম তৈরী করা হয়েছিল সীতাভোগ  ও মিহিদানার।জন্ম নিয়ে বিতক' যাই থাকনা কেনো,বধ'মানের এই সীতাভোগ  মিহিদানা  খেয়ে  মুগ্ধ হয়ে সুনাম করতে বাধ্য হয়েছিলেন লড' কাজ'ন থেকে ১৯৬৫সালে দুগা'পুরে কংগ্রেসের এক সম্মেলেনে এসে তখনকার  প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও জহরলাল নেহেরু পয'ন্ত।
               এতোদিন পয'ন্ত এই বিখ্যত মিষ্টান্ন দুটির প্রতি বধ'মানের কোন ভৌগলীক স্বীকৃতি ছিল না,কিন্তু ২০১৭ সালে১লা এপ্রিল জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশনের নিজশ্ব ওয়েবসাইটে সেই বহু প্রতিক্ষার স্বীকৃতির কথা জানানো হলো।জি.আই. সীতাভোগ কে সারা ভারতের মধ্যে ৫২৫ তম স্থানে,রাজ্যের মধ্যে ১২ তম স্থানে ও মিহিদানাকে দেশের মধ্যে ৫২৬ তম স্থানে,রাজ্যের মধ্যে ১৩ তম স্থানে ভৌগলিক স্বীকৃতি দিল।আর এই স্বীকৃতির মূলে রয়েছে শহরের তেতাল্লিশ জন মিষ্টি ব্যবসায়ীর এক সম্মিলিত প্রচেষ্টা।'ট্রেডাস' ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ' প্রথমে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সীতাভোগ  ও মিহিদানার জি.আই.স্বীকৃতির জন্য আবেদন জানায়,এই আবেদনের সজ্ঞে যোগকরে দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ১৫ই নভেম্বর  রেডিও আকাশবাণী তে প্রচারিত বধ'মানের বিশিষ্ট মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী নগেন্দ্র নাথের একটি সীতাভোগ ও মিহিদানাকে নিয়ে প্রতিবেদন।অবশেষে সেই প্রচেষ্টা স ফল হলো।
                         ২০১৭ তে  জি.আই.স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে সীতাভোগ মিহিদানা বধ'মানের ভোগলিক পরিচয়ে স ররকারী পরিচিতি লাভ করলো,এই ' জি আই লোগো' থাকার কারনে অনান্য জেলায় বা রাজ্যে এই মিষ্টান্ন দুটির বধ'মানের নাম ব্যবহার করতে হলে তা আইন মেনে ক রতে হবে,এতে সব'ত্র সীতাভোগ  ও মিহিদানার গুনগত মান বজায়থাকবে।
সে বছর ভারত সরকারের জি. আই. বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকশনের স্বীকৃতি আদায় করে ছাড়ল।


No comments:

Post a Comment