Wednesday, February 19, 2020

ঐতিহ্যময় মৌখিরা।
          # ফিরোজ আলি কাঞ্চন#
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম অঞ্চলের এই গ্রামে আছে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির।মানকর স্টেশন থেকে গেড়াই বিষ্টুপুর যাবার পথ ধরে প্রায় ২৫কিমি দূরত্বে এই গ্রাম,আবার এলেমবাজারের ১১মাইল থেকেও যাওয়া যায়।প্রথমেই চোখে পরবে সারিবদ্ধ ভাবে মুখোমুখি বেশ কিছু শিব  মন্দির।পশ্চিম মুখি তিনটি ডান দিকে ও পূব মুখি দুটি মন্দির বাম দিকে দেউল রীতিতে নির্মিত। বামদিকেই আর একটি উত্তর মুখি আটচালা রীতিতে নির্মিত মন্দির।একেবারে সামনে সোজাসুজি আর একটি আটচালা রীতিতে নির্মিত দক্ষিন মুখি মন্দির।এই মন্দির টি থেকে কিছু দূরে ডানদিকে উত্তর মুখি একটি বড়ো পঞ্চচূড়া লক্ষ্মী জনার্দন মন্দির।প্রত্যেকটি মন্দিরের খিলানে টেরাকোটা কাজের নান্দনিক সৌন্দর্য খুবই আকর্ষনীয়।এই মন্দিরগুলি রায় পরিবার নির্মিত। মন্দির গুলির প্রতিষ্ঠা সাল সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।দক্ষিণ মুখি আটচালা মন্দিরের ফলকে ১৭১৫ শকাব্দ,সন ১২০০ দেখা যায়।তবে এখানের সব মন্দিরগুলি যে একই সময়ে একই সঙ্গে নির্মিত হয়েছিল তা বলা যায় না।ঠিক মতো প্রচার পেলে এ গ্রাম ছোট খাটো পর্যটন কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠতে পারে।
#ফিরোজ আলি কাঞ্চন#








No comments:

Post a Comment